ঝিনাইদহ
শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে পাগলা কানাই উপজেলায় অবস্থিত প্রাচীন এই ঢোল
সমূদ্র পুকুর, এই পুকুরটি ১৭ একর জমির উপরে অবস্থিত। ঝিনাইদহ জেলার সবথেকে বড় দিঘী
এটি। এই দিঘীটি ঝিনাইদহের মানুষের কাছে একটি বিনোদনের স্থানও বটে।
ঢোল সমূদ্র
পুকুরের উৎপত্তি ও
এর
সাথে
জড়িত
জমিদার
মুকুট
রায়ের
সহধর্মিনীর মৃত্যুর কাহিনী
একটি
জনশ্রুতি। এই
জনশ্রুতি অনুযায়ী, ঝিনাইদহের প্রতাপশালী জমিদার
মুকুট রায়
এই
পুকুর
খনন
করিয়েছিলেন।
পুকুর খননের কারণ:
- খরা কাল: একবার ঝিনাইদহে
ভয়াবহ খরা দেখা দেয়। প্রজারা পানির অভাবে কষ্টে ছিলেন। তখন রাজা মুকুট রায় এই পুকুরটি খনন করার নির্দেশ দেন।
- জনশ্রুতি: জনশ্রুতি
অনুযায়ী, পুকুর খননের সময় এত পরিমাণ মাটি বের হয়েছিল যে তা দিয়ে একটি ঢোল বানানো সম্ভব ছিল। এই কারণেই পুকুরের নামকরণ করা হয় "ঢোল সমূদ্র"।
রাণীর মৃত্যুর কাহিনী:
- স্বপ্ন ও পূজা: পুকুর খনন শেষ হলেও পানি উঠছিল না। হতাশ হয়ে রাজা একদিন স্বপ্ন দেখলেন যে, রাণী যদি পুকুরে নেমে পূজা দেন, তবে পুকুরে জল উঠবে। এ কথা জেনে রাণী পূজার নৈবেদ্য নিয়ে পুকুরে নামলেন।
- দুর্ঘটনা: রাণী পূজা শেষ করে উপরে উঠতে শুরু করলেন। সহসা প্রবলবেগে
জলরাশি উথ্থিত হল । এদিকে পুকুরে জল উঠতে দেখে পুকুরের
পাড়ে থাকা আনন্দে ঢোল ডোগর, বাদ্য বাজনা বাজিয়ে আনন্দ উৎসব করতে লাগলো। এদিকে
প্রবল বেগে জলের স্রোতে রাণী
অথৈ জলরাশির গভীরে তলিয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
- শোক: রাণীর মৃত্যুতে
রাজা ও
প্রজাগণ গভীর শোকে নিমজ্জিত হন। এই স্মৃতি স্মরণে আজও লোকজন এ
পুকুরকে ঢোল সমূদ্র পুকুর বলে জানে।
এই কাহিনীটি একটি জনশ্রুতি এবং এর সত্যতা নিশ্চিত করা যায় না। তবে
এই
কাহিনীটি ঢোল
সমূদ্র
পুকুরের সাথে
একটি
রোমান্টিক ও
দুঃখজনক ইতিহাস
যুক্ত
করেছে।
মনে রাখবেন:
- এই কাহিনীটি বিভিন্ন সংস্করণে প্রচলিত আছে।
- ঢোল সমূদ্র পুকুরের আসল উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে।
- এই পুকুর ঝিনাইদহের একটি ঐতিহাসিক ও
পর্যটন স্থান।
আপনি যদি ঢোল সমূদ্র পুকুর এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আপনি ঐতিহাসিক গবেষণা বা স্থানীয়দের সাথে কথা বলে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য উপকারী হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন