সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪

মকস্ বিল ভ্রমণ (গাজীপুর)


 

মকস্ বিল ভ্রমণ

মকস্ বিল, গাজীপুর জেলার, কালিয়াকৈর উপজেলায় বরইবাড়ী এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময়ী বিল। মকস্ বিল বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। বিশেষ করে গ্রীষ্মকাল ঈদের সময় এটি আনন্দপ্রিয় মানুষের ভিড়ে সরগরম হয়ে ওঠে। বিলের সবুজের সমারোহ, ছোট-বড় নৌকা, হরেক রকমের দোকানের পসরা এবং আনন্দ উপভোগের অনেক উপাদান বিদ্যমান থাকায় এটি একটি আদর্শ বিনোদন স্থল।

কেন মকস্ বিল যাবেন ?

  • প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: বিলের বিশাল জলরাশি, সবুজ বেষ্টনী, তুরাগ নদীর সঙ্গমসব মিলিয়ে একটি মনোরম দৃশ্য উপহার দেয়।
  • নৌকা ভ্রমণ: বিলের মাঝখানে নৌকা ভ্রমণ করে আপনি প্রকৃতির খুব কাছাকাছি চলে যাবেন।
  • খাবার: বিলের পাশে নানারকম খাবারের দোকান রয়েছে। বিশেষ করে বিলের টাটকা মাছের স্বাদ আপনার মুখে জল আনবে।
  • আনন্দ: ঈদ মৌসুমে বিলের পাড়ে নানারকম আয়োজন থাকে। গান, বাদ্যযন্ত্র, নাচসব মিলিয়ে একটি উৎসবের আমেজ।

ভ্রমণের পরিকল্পনা

  • কখন যাবেন: গ্রীষ্মকাল ঈদের সময় মকস্ বিল সবচেয়ে বেশি সুন্দর দেখায়।
  • কিভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে গাজীপুর চৌরাস্তার দূরত্ব ২৫ কিঃ মিঃ, যেতে সময় লাগে ৩০-৪০ মিঃ। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে টাঙ্গাইল রোডে মৌচাক যেতে হবে। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে মৌচাকের দূরত্ব ১১ কিঃ মিঃ। মৌচাক থেকে সিএনজি বা অটোরিকশা করে আপনি সহজেই মকস্ বিল পৌঁছাতে পারবেন।
  • কি করবেন:
    • নৌকা ভ্রমণ
    • বিলের পাশে হাঁটা
    • মাছ ধরা
    • খাবার খাওয়া
    • ছবি তোলা
    • বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সময় কাটানো

কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন

  • পরিবেশ: মকস্ বিলের সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রাখতে আবর্জনা ফেলবেন না।
  • নিরাপত্তা: পানিতে নামার সময় সাবধান থাকুন।
  • খরচ: ভ্রমণের খরচ আপনার ভ্রমণের ধরন এবং দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করবে।

মকস্ বিল একটি অসাধারণ স্থান যেখানে আপনি প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছু সময় কাটাতে পারবেন। তাই দেরি না করে পরিকল্পনা করুন এবং মকস্ বিলে ঘুরতে যান।

আপনার ভ্রমণ যেন সফল হয়!

আপনি কি মকস্ বিল সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চান?


সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪

ঢোল সমূদ্র দিঘীর প্রাচীন করুণ ইতিহাস



 


ঝিনাইদহ শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে পাগলা কানাই উপজেলায় অবস্থিত প্রাচীন এই ঢোল সমূদ্র পুকুর, এই পুকুরটি ১৭ একর জমির উপরে অবস্থিত। ঝিনাইদহ জেলার সবথেকে বড় দিঘী এটি। এই দিঘীটি ঝিনাইদহের মানুষের কাছে একটি বিনোদনের স্থানও বটে।

ঢোল সমূদ্র পুকুরের উৎপত্তি এর সাথে জড়িত জমিদার মুকুট রায়ের সহধর্মিনীর মৃত্যুর কাহিনী একটি জনশ্রুতি। এই জনশ্রুতি অনুযায়ী, ঝিনাইদহের প্রতাপশালী জমিদার  মুকুট রায় এই পুকুর খনন করিয়েছিলেন।

পুকুর খননের কারণ:

  • খরা কাল: একবার ঝিনাইদহে ভয়াবহ খরা দেখা দেয়। প্রজারা পানির অভাবে কষ্টে ছিলেন। তখন রাজা মুকুট রায় এই পুকুরটি খনন করার নির্দেশ দেন।
  • জনশ্রুতি: জনশ্রুতি অনুযায়ী, পুকুর খননের সময় এত পরিমাণ মাটি বের হয়েছিল যে তা দিয়ে একটি ঢোল বানানো সম্ভব ছিল। এই কারণেই পুকুরের নামকরণ করা হয় "ঢোল সমূদ্র"

রাণীর মৃত্যুর কাহিনী:

  • স্বপ্ন পূজা: পুকুর খনন শেষ হলেও পানি উঠছিল না। হতাশ হয়ে রাজা একদিন স্বপ্ন দেখলেন যে, রাণী যদি পুকুরে নেমে পূজা দেন, তবে পুকুরে জল উঠবে। কথা জেনে রাণী পূজার নৈবেদ্য নিয়ে পুকুরে নামলেন।
  • দুর্ঘটনা: রাণী পূজা শেষ করে উপরে উঠতে শুরু করলেন। সহসা প্রবলবেগে জলরাশি উথ্থিত হল । এদিকে পুকুরে জল উঠতে দেখে পুকুরের পাড়ে থাকা আনন্দে ঢোল ডোগর, বাদ্য বাজনা বাজিয়ে আনন্দ উৎসব করতে লাগলো। এদিকে প্রবল বেগে জলের স্রোতে রাণী অথৈ জলরাশির গভীরে তলিয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
  • শোক: রাণীর মৃত্যুতে রাজা প্রজাগণ গভীর শোকে নিমজ্জিত হন। এই স্মৃতি স্মরণে আজও লোকজন পুকুরকে ঢোল সমূদ্র পুকুর বলে জানে।

এই কাহিনীটি একটি জনশ্রুতি এবং এর সত্যতা নিশ্চিত করা যায় না। তবে এই কাহিনীটি ঢোল সমূদ্র পুকুরের সাথে একটি রোমান্টিক দুঃখজনক ইতিহাস যুক্ত করেছে।

মনে রাখবেন:

  • এই কাহিনীটি বিভিন্ন সংস্করণে প্রচলিত আছে।
  • ঢোল সমূদ্র পুকুরের আসল উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে।
  • এই পুকুর ঝিনাইদহের একটি ঐতিহাসিক পর্যটন স্থান।

আপনি যদি ঢোল সমূদ্র পুকুর এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আপনি ঐতিহাসিক গবেষণা বা স্থানীয়দের সাথে কথা বলে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।

আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য উপকারী হবে।


সেন্টমার্টিন থেকে ছেড়া দ্বীপ ভ্রমণের বিস্তারিত

  ছেড়া দ্বীপ ভ্রমণের বিস্তারিতঃ ছেড়া দ্বীপ যেতে অনেকে স্পীড বোট, লাইফ বোট এবং ট্রলার ব্যবহার করে থাবেন। এছাড় স্থল পথে ছেড়া দ্বীপ যেতে অনেকে ...