রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

রাঙামাটি ভ্রমণ

 

রাঙামাটি ভ্রমণ ঃ

আয়তনে বাংলাদেশের সবথেকে বড় জেলা রাঙামাটি। তবে এখানকার প্রাকৃতিক রুপ বৈচিত্রে এই জেলা ক্ষ্যতি পেয়েছে রুপের রানী হিসাবে। একদিকে যেমন দক্ষিণ এশিয়ার সর্ব বৃহৎ কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য্য। অন্যদিকে রয়েছে ছোট বড় বেশ কয়েকটি ঝরনা। সাথে যোগ হয়েছে সারি সারি পাহাড়। সবকিছু মিলে রাঙামাটিকে ভ্রমণের জন্য একটি আদর্শ জায়গা বল যায়। হাতে একদিনের সময় নিয়ে আজ আমরা ঘুরে দেখব রাঙামাটির বেশ কয়েকটি স্পট।

রাঙামাটিতে অবস্থিত কাপ্তাই লেক বাংলাদেশের বৃহত্তম হ্রদ। এটি ১৯৬২ সালে কর্ণাফুলী নদীর উপর বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছিল। লেকটি তার মনোরম পরিবেশ, প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং বিভিন্ন দ্বীপের জন্য বিখ্যাত।

কাপ্তাই লেকে করার মতো কিছু জিনিস:

  • নৌকা ভ্রমণ: কাপ্তাই লেক নৌকা ভ্রমণের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। আপনি লেকের বিভিন্ন দ্বীপ পরিদর্শন করতে পারেন, স্থানীয় গ্রামগুলি দেখতে পারেন এবং এমনকি জলপ্রপাতও দেখতে পারেন।
  • মাছ ধরা: কাপ্তাই লেক মাছ ধরার জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। আপনি বিভিন্ন ধরণের মাছ ধরতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে কাতলা, রুই, বোয়াল এবং চিংড়ি।
  • ট্রেকিং: কাপ্তাই লেকের আশেপাশে অনেক ট্রেকিং ট্রেল রয়েছে। আপনি বিভিন্ন স্তরের দক্ষতার জন্য ট্রেল খুঁজে পেতে পারেন।
  • স্নান: কাপ্তাই লেক সাঁতার কাটার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা। তবে, সাঁতার কাটার সময় সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ লেকটি বেশ গভীর হতে পারে।
  • স্থানীয় সংস্কৃতি উপভোগ করুন: কাপ্তাই লেকের আশেপাশে অনেকগুলি স্থানীয় গ্রাম রয়েছে। আপনি স্থানীয় সংস্কৃতি উপভোগ করতে পারেন, স্থানীয় খাবার খেতে পারেন এবং এমনকি স্থানীয়দের সাথে কথা বলতে পারেন।

কাপ্তাই লেকে যাওয়ার উপায়:

  • ঢাকা থেকে: আপনি  বাসে করে ঢাকা থেকে রাঙামাটি যেতে পারেন। বাসে গেলে সময় লাগবে ৭-৮ ঘন্টা।

কাপ্তাই লেকে থাকার ব্যবস্থা:

  • হোটেল: কাপ্তাই লেকের আশেপাশে বিভিন্ন ধরণের হোটেল রয়েছে। আপনার বাজেট এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে আপনি থাকার ব্যবস্থা বেছে নিতে পারেন।

আরও তথ্যের জন্য আপনি নিম্নলিখিত ওয়েবসাইটগুলি দেখতে পারেন: www.travelfamilybd.com https://www.youtube.com/@TravelFamilybd https://www.facebook.com/Travel.Family.Bangladesh https://www.facebook.com/groups/travel.family.bd https://www.instagram.com/travel_familybd/ https://www.linkedin.com/in/travel-family-bd/ https://x.com/Travelfamilybd

 

রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪

বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারের ইতিহাস


মাজারের অবস্থান:

চট্টগ্রামের নাসিরাবাদের একটি পাহাড়ের উপরে অবস্থিত বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার।

মাজারের ইতিহাস:

  • ঐতিহাসিক ভিত্তি: বায়েজিদ বোস্তামী নামক বিখ্যাত সুফি সাধকের নামানুসারে এই মাজারটি নির্মিত হলেও, তাঁর চট্টগ্রাম ভ্রমণের কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় না।

  • জনশ্রুতি: জনশ্রুতি অনুযায়ী, বায়েজিদ বোস্তামী চট্টগ্রামে এসেছিলেন এবং ভক্তদের অনুরোধে তার কনিষ্ঠ আঙ্গুল কেটে রক্ত মাটিতে ফেলে যান। ঐ স্থানেই পরবর্তীতে তার মাজার নির্মিত হয়।
  • নির্মাণকাল: মাজারের নির্মাণকাল নির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। তবে ধারণা করা হয় ১৫শ শতাব্দীর মধ্যে এটি নির্মিত হয়েছিল।
  • স্থাপত্য: মাজারটি একটি ইটের তৈরি স্থাপত্য। এর ভেতরে একটি সমাধি কক্ষ রয়েছে যেখানে বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার বিশ্বাস করা হয়।
  • বোস্তামীর কাছিম: মাজারের পাদদেশে অবস্থিত একটি বড় পুকুরে প্রচুর পরিমাণে কাছিম (এক প্রকার বিরল কচ্ছপ) দেখা যায়। জনশ্রুতি অনুযায়ী, বায়েজিদ বোস্তামী দুষ্ট আত্মাদের কাছিমে রূপান্তরিত করেছিলেন এবং তাদেরকে এই পুকুরে বন্দি করে রেখেছিলেন।

গুরুত্ব:

  • বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার চট্টগ্রামের একটি বিখ্যাত ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থান।
  • প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক দেশি-বিদেশী পর্যটক এখানে আসেন।
  • মাজার চত্বরে একটি মসজিদ, একটি ধর্মীয় স্কুল এবং একটি দরগাহ রয়েছে।

সেন্টমার্টিনে কম খরচে হোটেল বুকিং


সেন্টমার্টিনে হোটেল বুক করার জন্য আপনার কাছে বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে:

অনলাইন বুকিং:

  • হোটেলের ওয়েবসাইট: অনেক হোটেলেরই নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে যেখানে আপনি সরাসরি তাদের সাথে বুকিং করতে পারেন। এটি প্রায়শই সবচেয়ে ভালো দাম পেতে পারে কারণ এটি কোনও থার্ড-পার্টি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নয়।
  • অনলাইন ভ্রমণ বুকিং ওয়েবসাইট: Booking.com এর মত ওয়েবসাইটগুলিতে আপনি বিভিন্ন হোটেলের তুলনা করতে পারেন এবং আপনার বাজেট এবং পছন্দ অনুযায়ী সেরাটি বেছে নিতে পারেন।

ফোন করে বুকিং:

  • আপনি সরাসরি হোটেলে ফোন করে বুকিং করতে পারেন। এটি আপনাকে হোটেলের কর্মীদের সাথে কথা বলার এবং আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করার সুযোগ দেয়।

ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে বুকিং:

  • আপনি যদি চান তবে একজন ট্রাভেল এজেন্ট আপনার জন্য হোটেল বুক করতে পারে। এটি বিশেষ করে সহায়ক হতে পারে যদি আপনি একটি ছুটির প্যাকেজ বুক করছেন যার মধ্যে হোটেল, ফ্লাইট এবং অন্যান্য কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

হোটেল বুক করার সময় কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে:

  • আপনার ভ্রমণের তারিখ: পিক মৌসুমে (ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী) হোটেলের দাম বেশি হতে পারে।
  • আপনার বাজেট: সেন্টমার্টিনে বিলাসবহুল রিসোর্ট থেকে সাশ্রয়ী মূল্যের গেস্ট হাউস পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের হোটেল রয়েছে।
  • আপনার পছন্দ: আপনি কি সমুদ্র সৈকতের কাছে একটি হোটেল চান, নাকি শহরের কেন্দ্রস্থলে? আপনি কি একটি সুইমিং পুল বা স্পা সহ একটি হোটেল চান?

আমি আশা করি এই তথ্যগুলি আপনাকে সেন্টমার্টিনে আপনার জন্য সেরা হোটেল বুক করতে সাহায্য করবে!

সেন্টমার্টিন থেকে ছেড়া দ্বীপ ভ্রমণের বিস্তারিত

  ছেড়া দ্বীপ ভ্রমণের বিস্তারিতঃ ছেড়া দ্বীপ যেতে অনেকে স্পীড বোট, লাইফ বোট এবং ট্রলার ব্যবহার করে থাবেন। এছাড় স্থল পথে ছেড়া দ্বীপ যেতে অনেকে ...