রাতারগুল জলাবণের ইতিহাস: প্রাকৃতিক রহস্যের এক অধ্যায়
আবিষ্কার ও নামকরণ:
- ১৯১৬ সালে: ব্রিটিশ বন কর্মকর্তারা গোয়াইনঘাট উপজেলার ঘন অরণ্যে এই অসাধারণ জলাবনটি আবিষ্কার করেন।
- **স্থানীয় মুতা জনগোষ্ঠীর ভাষায় "রাতা" মানে "লাল" এবং "গুল" মানে "গাছ"।
- লালচে রঙের করচ গাছের প্রাচুর্যের কারণে জলাবনটির নাম হয় "রাতারগুল"।
ঐতিহাসিক তথ্য:
- ১৯৭৩ সালে: ৫০৪ একর এলাকা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
- ২০১৫ সালে: বাংলাদেশ বন অধিদপ্তর ২০৪.২৫ হেক্টর বনভূমিকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে।
- ২০১৭ সালে: রাতারগুল জলাবন আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা (আইইউসিএন) কর্তৃক বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জলাবন হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়।
জলাবনের বৈশিষ্ট্য:
- **বিশ্বের মাত্র ২২টি মিঠাপানির জলাবনের একটি।
- ৩,৩২৫.৬১ একর এলাকা জুড়ে অবস্থিত।
- বর্ষাকালে পানিতে নিমজ্জিত থাকে, শুষ্ক মৌসুমে আংশিকভাবে শুকিয়ে যায়।
- করচ গাছ, শাল, সুন্দরী, খৈর, বৈত, নাগেশ্বর সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালায় সমৃদ্ধ।
- বানর, হরিণ, শালিক, কুমির, তেলাপিয়া সহ বৈচিত্র্যময় প্রাণীকুলের আবাসস্থল।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
- প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- স্থানীয় জীবিকা নির্বাহে অবদান রাখে।
- পর্যটন আকর্ষণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
- জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানুষের হস্তক্ষেপের কারণে জলাবন হুমকির মুখে।
ঐতিহাসিক শিক্ষা:
- প্রাকৃতিক সম্পদের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
- জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সকলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
- স্থায়ী উন্নয়নের জন্য প্রকৃতির সাথে সহাবস্থান জরুরি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন