শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪

রাতারগুল সিলেট | রাতারগুল জলাবন


 

রাতারগুল জলাবণের ইতিহাস: প্রাকৃতিক রহস্যের এক অধ্যায়

আবিষ্কার ও নামকরণ:

  • ১৯১৬ সালে: ব্রিটিশ বন কর্মকর্তারা গোয়াইনঘাট উপজেলার ঘন অরণ্যে এই অসাধারণ জলাবনটি আবিষ্কার করেন।
  • **স্থানীয় মুতা জনগোষ্ঠীর ভাষায় "রাতা" মানে "লাল" এবং "গুল" মানে "গাছ"
  • লালচে রঙের করচ গাছের প্রাচুর্যের কারণে জলাবনটির নাম হয় "রাতারগুল"

ঐতিহাসিক তথ্য:

  • ১৯৭৩ সালে: ৫০৪ একর এলাকা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
  • ২০১৫ সালে: বাংলাদেশ বন অধিদপ্তর ২০৪.২৫ হেক্টর বনভূমিকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে।
  • ২০১৭ সালে: রাতারগুল জলাবন আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা (আইইউসিএন) কর্তৃক বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জলাবন হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়।

জলাবনের বৈশিষ্ট্য:

  • **বিশ্বের মাত্র ২২টি মিঠাপানির জলাবনের একটি
  • ৩,৩২৫.৬১ একর এলাকা জুড়ে অবস্থিত।
  • বর্ষাকালে পানিতে নিমজ্জিত থাকে, শুষ্ক মৌসুমে আংশিকভাবে শুকিয়ে যায়।
  • করচ গাছ, শাল, সুন্দরী, খৈর, বৈত, নাগেশ্বর সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালায় সমৃদ্ধ।
  • বানর, হরিণ, শালিক, কুমির, তেলাপিয়া সহ বৈচিত্র্যময় প্রাণীকুলের আবাসস্থল।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব:

  • প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • স্থানীয় জীবিকা নির্বাহে অবদান রাখে।
  • পর্যটন আকর্ষণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
  • জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানুষের হস্তক্ষেপের কারণে জলাবন হুমকির মুখে।

ঐতিহাসিক শিক্ষা:

  • প্রাকৃতিক সম্পদের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
  • জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সকলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
  • স্থায়ী উন্নয়নের জন্য প্রকৃতির সাথে সহাবস্থান জরুরি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সেন্টমার্টিন থেকে ছেড়া দ্বীপ ভ্রমণের বিস্তারিত

  ছেড়া দ্বীপ ভ্রমণের বিস্তারিতঃ ছেড়া দ্বীপ যেতে অনেকে স্পীড বোট, লাইফ বোট এবং ট্রলার ব্যবহার করে থাবেন। এছাড় স্থল পথে ছেড়া দ্বীপ যেতে অনেকে ...